কোথাও যেন একটা পড়েছিলাম যে আজকাল নেতাজী, বিদ্যাসাগর, স্বামী বিবেকানন্দ এদের মত দেশপ্রেমিক, মহাপুরুষ দের আর এদেশে জন্ম হয় না কেন?
তার উত্তর একটাই। সেটা হল, আজকাল আসলে প্রভাবতী দেবী, ভগবতী দেবী ও ভুবনেশ্বরী দেবীদের মত মায়েদের আর দেখা যায় না।
ঠিক তাই, সেযুগের মায়েরা আজকের নারীদের মত পুঁথিগত ভাবে অতটা শিক্ষিত না হলেও প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন। তাইতো এমন মহাপুরুষদের উত্থান হয়েছিল।
জন্ম মাত্রেই কেউ মহাপুরুষ হয়ে যায় না। সন্তানের প্রথম শিক্ষক তার মা। সেই মায়ের কাছ থেকেই সন্তানের মূল স্বরূপ কিংবা যাকে বলে মূল ভিতের সৃষ্টি হয়।
যেমন একটা নরম মাটির ঢেলা কে মূর্তিকার মেরে পিটে একটা সুন্দর মূর্তির সৃষ্টি করে। ঠিক তেমনি একজন বাবা মা ই তার সন্তানকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারে।
তাই সন্তানের ভালো খারাপ, সদ – বদ গুণের দায়িত্ব আংশিক ভাবে বর্তায় বাবা মায়ের ওপর।
সে যুগের বাবা মায়েরা, বিশেষ করে মায়েরা।
মায়েরা এই কারণে বলছি, ছোট বয়সে শিশু তার মায়ের কাছেই বেশি সময় কাটায়। তাই মূল শিক্ষা মায়ের কাছ থেকে পায়।
ছোটবেলাকার শিক্ষাই কিন্তু কম বয়সে সুপ্ত থাকলেও, বড় বয়সে এসেই আসল আকার ধারণ করে।
এযুগের মেয়েরা যারা প্রাকৃতিক নিয়মে তো মা হচ্ছেন কিন্তু আক্ষরিক অর্থে কি প্রকৃত মা হতে পারছেন!!!
সন্তানকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারছেন!!!
সন্তানকে মানুষের মত মানুষ হবার শিক্ষা না দিয়ে ইঁদুর দৌড়ের প্রতিযোগিতায় ঠেলে দিচ্ছেন, অশ্লীলতা, অশ্লীল ভাষা, চুরি শিক্ষা ইত্যাদি শেখাচ্ছেন।
তাই আজকাল দেশে প্রকৃত মানুষ তৈরি হয় না, মহাপুরুষ জন্মায় না। জন্মায় শুধু নরকের কীট। জন্মায় ধর্ষক, জোচ্চোর প্রমুখ ব্যক্তি, যারা এই সমাজে খুব গণ্য মান্য ব্যক্তি হিসাবে মর্যাদা পায়।
এটাই ঘোর কলির পরিচয়, যেখানে দুর্নীতি অপরাধে ঘিরে আছে পুরো সমাজ।
তাই এই সমাজের পরিবর্তন করতে হলে নিজেদেরকে পরিবর্তন করতে হবে, নিজের ভবিষ্যতের সন্তানকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে।
একটা কথা মনে রাখা দরকার, সন্তান কিন্তু বাবা মা কে দেখেই শেখে। তাই সাময়িক মোহের বশে এমন কিছু করা উচিত নয়, যেটা পরে নিজেদের জন্য অভিশাপ হয়ে আসে।