তোমায় কখনও বলতে পারিনি,
তার মানে এই নয় যে, তোমায় বলতে চাইনি।
চাইনি তোমায় খুব কাছে পেতে,
তোমার সাথে হাতে হাত রেখে এক সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে।
সামনা সামনি তোমার সাথে দেখা হলে,
কখনও তোমার চোখের দিকে একটানা চেয়ে থাকতে পারিনি, ইতস্তত করে চোখ নামিয়ে নিয়েছি।
তার মানে এই নয় যে,
আমি তোমার ঐ চোখের সাগরে ভাসতে চাইনি।
একটানা চেয়ে থাকতে চাইনি তোমার ঐ চাঁদের মত শ্রীবদনে।
যখন কখনও তোমায় অন্য কারোর সাথে দেখেছি,
তখন ছুটে গিয়ে তোমার হাতটা ধরে তোমায় কিছু বলতে পারিনি।
তার মানে এই নয় যে, আমার কোনো কষ্ট হয়নি।
বুক ফেটেছে যন্ত্রণায়, তবু কখনও মুখ ফুটে তোমায় কিছু বলতে পারিনি।
তুমিও বোঝনি কোনোদিন আমার চোখের ভাষা।
বোঝনি আমার অভিমান, না বলা কথা।
যদি তুমি বুঝতে, একটু ভালো করে জানতে চাইতে,
তবে চিনতে পারতে আমার ঐ হৃদয় রাজ্যের রাণীকে।
আমার রানী ঠিক অতটা নিখুঁত সুন্দরী নয়,
কারণ নিখুঁত সুন্দরী তো একমাত্র রূপকথার রাজকুমারীরাই হয়।
আমার রানী খুব সাধারণ, খুব সেকেলে,
জলু থলু চেহারায়, ছোট খাট শরীরের, এলো মেলো চুল, কোনো মেকআপ ছাড়াই যখন সে তোমার ঘরের ওই এককোণে রাখা আয়নাটার সামনে এসে দাঁড়ায় —
তখন সেই আমার হৃদয় রাজ্যে বিশ্ব সুন্দরী হয়ে ধরা দেয়।
~~~সৌরভ