ছেলেদের বলছি, তোমরা যারা দুদিন কোনো মেয়ের সাথে কথা বলার পর তাদের সাথে ইমোশনালি কানেক্ট হয়ে পড়, তারপর হঠাৎ করে যখন মেয়ে গুলো তোমাদের অ্যাভয়েড করতে শুরু করে, তখন না পাওয়ার বেদনা নিয়ে ব্যাজার মুখে বলতে থাক, ছেলেরা আসলে মেয়েদের জীবনে অস্থায়ী।
মেয়েদেরকে নিয়ে নানান অকথা – কুকথা করতে থাক, তাদের বলছি,এসব করে কি লাভ? যখন কি এসবের জন্য দায়ী তো সম্পূর্ণ তোমরাই।
হ্যাঁ তোমরাই দায়ী।
কারণ, যখন মেয়েটি তোমাকে একটু ভাও দিল, তখন তুমি পুরোপুরি গদগদ হয়ে নিজের কাজকর্ম ছেড়ে তোমার পুরো সময়টা তাকে দেওয়া শুরু করলে।
তখন একবার ও কি নিজের মাথা খানা একটু হলেও খাটিয়েছিলে?
একবার কি ঠিক করে এইটা লক্ষ্য করেছিলে যে, তুমি ঐ মেয়েটার সময়ের জন্য অপেক্ষা করে থাক, নাকি মেয়েটি তোমার সময়ের জন্য অপেক্ষা করে থাকে!
সেসব কিছুই লক্ষ্য করোনি। মেয়েটি তার নিজের সময় মত যখনই তোমায় কল বা ম্যাসেজ দিল, অমনি তুমিও তোমার যাবতীয় কাজ কর্ম ছেড়ে তাকে এন্টারটেইনমেন্ট করতে লেগে গেলে।
আসল ব্যাপারটাই কিছু বুঝলে না। আসলে মেয়েটি তোমাকে জাস্ট ইমোশনাল ডাম্পিং গ্রাউন্ডে রেখেছিল।
অর্থাৎ, বয়ফ্রেন্ডের সাথে ঝগড়া হয়েছে, মন খারাপ কিংবা সদ্য ব্রেকআপ হয়েছে। তাই নিজের ইমোশনাল রিকভারির জন্য একটা বলির পাঁঠা দরকার ছিল আর তুমিও হাসতে হাসতে তাই হয়ে গেলে।
এরপর যখন তার ইমোশনাল রিকভারি হয়ে গেল, বয়ফ্রেন্ডের সাথে বনিবনা হয়ে গেল, তখন আর তোমাকে তার কোনো প্রয়োজন নেই। তোমার যেটুকু কাজ ছিল, সেটা ফুরিয়েছে। তাই তোমাকে সে অ্যাভয়েড করা শুরু করল।
আর তুমিও দেবদাস সেজে ঘুরতে থাকলে।
তাই বলছি ছেলেরা, সময় থাকতে নিজেদের সামলে নাও। জেনে শুনে কারোর ইমোশনাল ডাম্পিং গ্রাউন্ডের বকরা বনতে যেও না।
কারোর জন্য নিজের ক্যারিয়ার কে বিসর্জন দিও না। কারণ যদিও বা কেউ তার ইমোশনাল রিকভারির পর তোমার কাছে আটকা পড়ে ও যায়, তার পরেও সে একদিন তোমার ব্যর্থ ক্যারিয়ারের দোহাই দিয়ে তোমায় ছেড়ে চলে যাবে।
একটা কথা সবসময় মনে রেখ, পুরুষকে কেউ কখনও ভালোবাসেনি, ভালোবেসেছে তার টাকা ও সামর্থ্য কে।
তাই জীবনে সবসময় নিজের ক্যারিয়ার কে আগে রেখ, বাকি সব তার পরে।