আমি কখনোই কারোর কাছে এতটা নিঃস্ব হয়ে ভিক্ষা চাইনি, যতটা তোমার কাছে সেইদিন চেয়েছিলাম, যেদিন তুমি আমায় ছেড়ে যেতে চেয়েছিলে।
সেদিন আমি তোমার কাছে হাত জোড় করে ভিক্ষে চেয়েছিলাম থেকে যাবার। বলেছিলাম, আমরা দুজন মিলে না হয় বাকীটা অ্যাডজাস্টমেন্ট করে নেব।
আমার মনে পড়ে, সেই দিন আমার বুকের মধ্যে কি এক খুব জোরে কালবৈশাখী ঝড় উঠেছিল; মনে হচ্ছিল যেন সবকিছু ভেঙে তছনছ করে দেবে।
আমি পাগলের মত তোমায় জোর করে রেখে দিতে চেয়েছিলাম। সেদিন আমি তোমায় আবার আগের মত করে পাবার জন্য, যে ঈশ্বরের প্রতিমার সামনে কোনোদিনই যায়নি, প্রথমবার তার মুখোমুখি হয়েছিলাম।
প্রথমবার সারা ইউনিভার্সের কাছে হাত পেতে তোমার ভিক্ষা চেয়েছিলাম।
সেদিন প্রথম বুঝেছিলাম, আমি জীবনে কখনও কোনোদিনও কাউকে এতটা আপন করে চাইনি, যতটা তোমায় পেতে চেয়েছিলাম।
অথচ তুমি আমার সমস্ত কান্না, আবেগ, মায়ায় বাঁধন কাটিয়ে কত সহজে আমার এ ভিক্ষার থলিকে দূরে ঠেলে দিলে। কত সহজেই তুমি বলে দিলে ‘ এভরিথিং ইজ ওভার ‘।
এই তিনটি ইংরেজি শব্দ আজও প্রতিদিন আমার কানে বাজে। প্রতিদিন আমার এ তীব্র বুকফাটা আর্তনাদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।