কিছু মানুষ আছে, যাদের সাথে ভদ্র ভাবে কথা বললে, ভদ্র আচরণ করলে আমাদেরকে দুর্বল ভেবে বসে।
আসলে ওরা জানে না যে, ওটা আমাদের দুর্বলতা নয়, আমাদের বাবা মায়ের দেওয়া ভালো সংস্কার, যার জন্য তার করা এত খারাপ ব্যবহারের পরেও আমরা তাদের সাথে আছি, তাদের সাথে ভালো আচরণ করছি, মিষ্টি ভাষায় কথা বলছি।
কিন্তু ওই যে একট প্রবাদ আছে না, “লাতো কা ভূত বাতো মে নেহি মানতা।”
ঠিক তাই, ওইসব লোকেদের সাথে ঠিক তাদের মতোই আচরণ করার দরকার।
মাঝে মাঝে খারাপ লোককে শায়েস্তা করতে খারাপ হতে হয়।
এ ক্ষেত্রে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের একটা কথা মনে পড়ছে – অধর্মীর বিনাশ করতে যদি অধর্মের সাহায্য নেওয়া হয়, তবে সেটা অধর্ম নয়।
ঠিক তাই, কাঁটা তুলতে কাঁটার প্রয়োজন হয়।
তাই জীবনে সবসময় ভালো মানুষ হয়ে থাকার প্রয়োজন নেই।
যে ভালো তার সাথে ভালো হয়ে থাক, আর যে খারাপ তার সাথে প্রথমে ভালো আচরণ কর, তার ভুলটা তাকে তার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দাও এবং তারপর তাকে শুধরানোর সুযোগ দাও।
আমার মতে কোনো মানুষকে সর্বাধিক ৩ বার সুযোগ দেওয়া উচিত।
কারণ প্রথমবার সে ভুলটা বোঝে কিন্তু স্বীকার করতে চায় না।
দ্বিতীয়বার সেটা অনুধাবন করে, আর তৃতীয়বার সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করে।
ওই তিনবারে ও যদি মানুষটা পরিবর্তিত না হয় তবে তাকে তার ভাষাতেই শেখাও।
তারপর যদি সে নিজের ভুল বুঝতে পেরে অনুতাপ করে তো ভালো নইলে তাকে তোমার জীবন থেকে পুরোপুরি ডিলিট করে দাও।
এবার নিজেকে সময় দেবার পালা। নিজের জন্য ভাব, নিজের ইচ্ছা পূরণ করার পালা। মনে কোনো দ্বিধা না রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাও।
এবার নিজেকে চেনো। নিজের অন্তরাত্মার আওয়াজ কে চেনো।
যখন তুমি নিজেকে পুরোপুরি রূপে চিনতে পারবে, তখন তুমি গোটা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের রহস্য জানতে পারবে।
কারণ আমাদের মধ্যেই, আমাদের এই সামান্য শরীর – আত্মার মধ্যেই গোটা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের রহস্য লুকিয়ে আছে।
শুধু তোমার চিনে নেবার অপেক্ষা।
আর নিজে নিজেকে চিনলে, নিজেকে ভালোবাসতে পারলে, নিজেই নিজের বন্ধু হয়ে ওঠলে, কাউকে আর পাশে লাগে না।
মূল কথা হল, কখনও নিজের জীবনের কন্ট্রোল অন্য কারোর হাতে দিও না, যে নিজের ইচ্ছেমত তোমাকে ব্যবহার করে শেষে ডাস্টবিনে নোংরা ময়লার মত ছুঁড়ে ফেলে দেবে।